[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

লাকসাম স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

রবিউল হোসাইন সবুজ,কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

 

সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিকালে নিজ ঘরে এসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে লাকসামে এসএসসি পরীক্ষার্থী নুসরাত আক্তার (১৭) নামের এক স্কুল ছাত্রী। নুসরাত পৌর শহরে আল আমিন ইন্সটিটিউট স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সিংজোড় বেড়িবাঁধ এলাকায় নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করে এই ছাত্রী।

স্কুলছাত্রী নুসরাত ওই এলাকার প্রবাসী বাবু মিয়ার বড় মেয়ে। মৃত্যুর ঘটনার প্রেমের সম্পর্ক ও ছাত্রীর বাবা-মায়ের বাধা-হুমকিতে নুসরাত গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়া।

 

এসএসসি পরীক্ষার্থী নুসরাতের মৃত্যু খবর শুনে সাধারণ মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীরা ওই বাড়ীতে এসে ভিড় করেন। হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে রাত ১০ টায় লাকসাম থানার পুলিশ সিংজোড় বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

 

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড়া ইউনিয়ন সিংজোড় বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী ব্যবসায়ী বাবু মিয়ার বড় মেয়ে নুসরাত আক্তারের সঙ্গে পাশের বাড়ির এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নুসরাতের বাবা-মা তাদের প্রেমের সম্পর্ক মানতে রাজি হননি।

 

পিতামাতার অবাধ্য হয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই লাকসাম বাজারে আসা-যাওয়া করত নুসরাত। এমনকি তাদের দেখা ও কথা না হলে মাঝেমধ্যে আত্মহত্যা চেষ্টাও করত নুসরাত।

 

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাবা-মা’র সঙ্গে নুসরাতের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে সে এসএসসি পরীক্ষার অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে স্কুলে যায়। বিকালে বাড়িতে এসে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়। পরে দরজা ভেঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ ঝুলতে দেখতে পায় স্বজনরা। এরপর পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে।

 

লাকসাম থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভুইয়া বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *